
আমাদের ছোটবেলার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ক্রিকেট। আর সেই ক্রিকেটের পোস্টার বয় ছিলেন আমাদের সকলের ‘দাদা’ – সৌরভ গাঙ্গুলী। সেই সময়টা ছিল অন্যরকম। ভারতের বাইরে ম্যাচ জেতাটা যখন প্রায় অসম্ভব বলে মনে হতো, তখন এই বঙ্গসন্তান এসে দলের মধ্যে আগ্রাসন এবং জেতার খিদে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। লর্ডসের ব্যালকনিতে সেই জার্সি ওড়ানো শুধুমাত্র একটা সেলিব্রেশন ছিল না, ওটা ছিল নতুন ভারতের ঔদ্ধত্যের প্রতীক।
কলকাতার অলিগলিতে তখন একটাই আলোচনা – দাদা আজ কত রান করবে? অফ-সাইডে চারটে মারলেই মনে হতো, যেন আমাদের পাড়ার দাদাই মাঠে নেমে খেলছে। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল, ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা, অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দেওয়া – এই সবকিছুর পিছনে ছিল এক বাঙালির মস্তিষ্ক আর অদম্য সাহস। স্টিভ ওয়াহকে টসের জন্য অপেক্ষা করানো থেকে শুরু করে বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে জবাব দেওয়া, দাদা আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে মাথা উঁচু করে লড়তে হয়। আজকের ভারতীয় দল যে মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে মাঠে নামে, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তাই আজও যখন টিভিতে পুরনো ম্যাচের হাইলাইটস দেখি, বুকের ভেতরটা গর্বে ভরে ওঠে। সেই দিনগুলো আর ফিরবে না, কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো অমলিন।









